এক মাসেই পদ্মার পানি পাচ্ছে ঢাকাবাসী  

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার যশোলদিয়ায় ৯২ একর জায়গায় নির্মিত পানি শোধনাগারের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে ঢাকার সঙ্গে পাইপলাইন সংযোগের কাজ।

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে মার্চের শেষের দিকে শোধনাগারটি চালু হবে বলে আশা করছে ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ।

সে হিসেবে আগামী এক মাসের মধ্যেই পদ্মা নদীর পানি পাবে ঢাকার ৪০ লাখ মানুষ।

ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলনের ফলে প্রতি বছর এর স্তর ২ থেকে ৩ মিটার নিচে নেমে গেছে। ফলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও ভূ-গর্ভস্থ পানির চাপ কমাতে ঢাকা শহরে একটি পরিবেশবান্ধব ও টেকসই পানি সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তুলতেই এই প্রকল্প হাতে নেয়া হয়।

ঢাকা ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের মাধ্যমে ভূ-পৃষ্ঠ উৎস থেকে প্রতিদিন ৪৫ কোটি লিটার (৪৫০ এমএলডি) পরিশোধিত পানি ঢাকায় সরবরাহ করা হবে।

এই প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করছে চাইনিজ প্রতিষ্ঠান সিএএমসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোং লিমিটেড ও ঢাকা ওয়াসা।

আর এই পানি পুরান ঢাকার মিটফোর্ড, নবাবপুর, লালবাগ, হাজারীবাগ, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর এবং আশপাশের এলাকার পানির চাহিদা পূরণ করবে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পদ্মার পানি মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার মাওয়া সার্কেল থেকে তিন কিলোমিটার পশ্চিমে যশোলদিয়া গ্রামে পরিশোধিত হয়ে ঢাকায় আসছে। পদ্মার পানি হাইলিফট পাম্প স্টেশনের পাইলিং ও বটম স্ল্যাবের মাধ্যমে পাইপলাইন দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে ঢাকায়।

ঢাকায় পরীক্ষার জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল সংলগ্ন স্থানে পানি বুড়িগঙ্গা নদীতে পড়ছে। দুটি গোলাকার পাইপলাইন দিয়ে পদ্মার পানি এই নদীতে পড়ছে।

সিএএমসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোং লিমিটেডের কর্মচারী হোসেন বাংলাদেশ টাইমস’কে বলেন, পদ্মার পানি যে দিক থেকে আসছে, এখন তার লাইন পরিষ্কার করা হচ্ছে।

শ্রম ও কল্যাণ বিভাগের উপসচিব শহিদুল ইসলাম বাংলাদেশ টাইমস’কে বলেন, এই প্রকল্পের জন্য ১০৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। কেরানীগঞ্জের আবদুল্লাহপুরে বুস্টার পাম্প স্টেশনের জন্য ১২ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৯২ একর জমিতে পানি শোধনাগারের ইনটেক চ্যানেল, অন্যান্য অবকাঠামো ও রাস্তা নির্মাণ করা হয়।

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান বাংলাদেশ টাইম ‘কে বলেন, এ প্রকল্পের কাজ সফলভাবে সমাপ্ত হবে।

প্রসঙ্গত, চায়নার এক্সিম ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে তিন হাজার ৩৭৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

 

টাইমস/টিআর/জেডটি

Share this news on: